• বৃহস্পতিবার, ২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪২৯

সারা দেশ

গৃহহীন ও ভূমিহীন মুক্ত সোনাইমুড়ী উপজেলা

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ২০ জুলাই ২০২৩

মোরশেদ আলম,সোনাইমুড়ী(নোয়াখালী)প্রতিনিধি:
মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে ভূমিহীন-গৃহহীন,অসহায় ও ছিন্নমূল মানুষের পুনর্বাসন কার্যক্রমের মাধ্যমে গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবারদের প্রধানমন্ত্রীর ঘর 'আশ্রয়ণ' প্রকল্পের মাধ্যমে আবাসস্থল তৈরি করা হয়।
যেখানে নোয়াখালী সোনাইমুড়ী উপজেলাতে ১ম,২য় ও ৩য় পর্যায়ে ইতিমধ্যে ৫৬৮টি পরিবারকে আশ্রয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে ঘর দেওয়া হয়। এরইমধ্যে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সোনাইমুড়ী উপজেলাকে গৃহহীন ও ভূমিহীন মুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। যার ফলে সোনাইমুড়ী উপজেলায় আর কোনো পরিবার গৃহহীন নেই। কিছুদিনের মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অন্যান্য উপজেলার মতো সোনাইমুড়ী উপজেলাকেও ভূমিহীন মুক্ত ঘোষণা করার কথা রয়েছে।
সোনাইমুড়ী উপজেলা প্রশাসনের তথ্যমতে,উপজেলার ৫৬৮টি ভূমিহীন, গৃহহীন হতদরিদ্র মানুষের মাঝে ৩টি পর্যায়ে ৫৬৮টি ঘর নির্মাণ ও প্রদান করা হয়। আশ্রয়ণ প্রকল্পের ১ম ও ২য় পর্যায়ে ২৩০টি এবং ৩য় পর্যায়ে নির্মিত হয়েছে ৩৩৮টি ঘর। যারমধ্যে প্রতিটি ঘরে ব্যায় হয়েছিল ২লক্ষ ৫৯হাজার ৫শ টাকা।
উপজেলার সাতটি স্থানে নির্মিত হয়েছে আশ্রয়ণ প্রকল্প। এরমধ্যে উপজেলার ১নং জয়াগ ইউনিয়নের বাংলাবাজার কেঘনায় অবস্থিত আশ্রয়ণ প্রকল্পে প্রায় দুই একর জায়গায় ২৭৫টি দৃষ্টিনন্দন ঘর নির্মাণ করা হয়। যেখানে উন্মুক্ত খেলার মাঠ,মসজিদ,কবরস্থান,গভীর নলকূপ স্থাপন,পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেনেজ ব্যবস্থা,পুকুর ঘাটে দৃষ্টিনন্দন ঘাটলা,নানারকম বৃক্ষ রোপণসহ বেশকিছু উন্নয়নমুলক স্থাপনা নির্মাণ করা হয় জয়াগ ও হীরাপুর আশ্রয়ণ কেন্দ্রে। ৩নং চাষীরহাট ইউনিয়নের পোরকরায় ১১টি,৫নং অম্বরনগর ইউনিয়নে ১৫টি,৬নং নাটেশ্বর ইউনিয়নে ১৪টি,৭নং বজরা ইউনিয়নের বদরপুর ৭২টি,সোনাপুরের হীরাপুরে ১৫৪টি, পৌরসভার গোবিন্দপুরে ২৭টি ঘর নির্মাণ ও উপকার ভোগীদের হস্তান্তর করা হয়।
সোনাইমুড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.ইসমাইল হোসেন প্রতিবেদককে জানান,'সোনাইমুড়ী উপজেলাকে ইতিমধ্যে একটি সভর মাধ্যমে জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে ভূমিহীন মুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ কিংবা অন্য কোনোভাবে এখানে কেউ নতুন করে ভূমিহীন-গৃহহীন হলে আমাদের কাছে আবেদন করলে তাদের ঘর করে দেওয়া হবে। সরকারের আশ্রয়ণ প্রকল্পে ভূমিহীন মানুষের ভাগ্য বদলেছে। আশ্রয়ণ নিয়ে সর্বাত্মক কাজ করে যাচ্ছে উপজেলা প্রশাসন।
সোনাইমুড়ী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান খন্দকার রুহুল আমিন প্রতিবেদককে মুঠোফোনে জানান,'ভূমিহীনদের স্বীকৃতি স্বরূপ প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে ঘর প্রদান করা হয়। প্রধানমন্ত্রীর এমন অবদান পেয়ে সোনাইমুড়ী উপজেলা ধন্য। আমার ব্যক্তিগত পক্ষ থেকে তাদের জন্য ১০লক্ষ টাকা ব্যায়ে ঘাটলা ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে। সরকারের উন্নয়নের প্রতীক হিসেবে থাকবে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর ও উপকারভোগী পরিবারগুলো'।
নোয়াখালী-১(চাটখীল-সোনাইমুড়ী)আসনের সংসদ সদস্য এইচ এম ইব্রাহীম এমপি বলেন,'সরকারের উন্নয়নের সারথি হিসেবে অসহায় মানুষের কথা চিন্তা করে বঙ্গবন্ধু কন্যা এ প্রকল্প হাতে নিয়েছিল। আজ তা দৃশ্যমান। সারাদেশের মধ্যে আগামী ১বছর পর দেখবেন সোনাইমুড়ীর কেঘনায় অবস্থিত বঙ্গবন্ধু ভিলেজ সবচেয়ে সুন্দর ও শ্রেষ্ঠ হবে বলে আমি বিশ্বাস করি। প্রকল্পের জন্য ইউএনও সহ জনপ্রতিনিধিরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে এ ঘরগুলো নির্মাণ করেন। আগামীতে সরকার ভূমিহীনদের ঘর দেওয়ার পাশাপাশি যাদের ভূমি আছে ঘর নেই তাদেরকেও ঘর করে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads